SS GoMag Bengali III

Preview:

DESCRIPTION

 

Citation preview

José Luís VidigalPortugalJacob Mulenga

Jun Marques Davidson

4

12

6 Alexander Samedov

Fabio Maciel2

FAITH soccer

José Luís VidigalPortugal4

14

6

2

1010

‡Ljvayjv I wek¦vm †hLv‡b mshy³ K‡i

ফ্যাবিও

যাকোব মুলেন্গা

আলেক্সান্ডার সামেডভ

জুন মার্কুএস ডেভিডসন

মার্কোস সেন্নামার্কোস সেন্না

S P O R TS S P E C T R U M

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: এরাবিক

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: বাহাসা মালয়েশিয়ান

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: বাঙ্গালী

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: বুর্মেসে

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: ডাচ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন:ইংলিশ (ব্রিটিশ)

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন:ইংলিশ (উসা)

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন:রেন্চ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: জার্মান

ক্লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: রিক

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: ইন্দোনেশিয়ান

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: জাপানীস

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: কোরিয়ান

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: মালাগাসি

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: ম্যান্ডারিন

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: নেপালেস

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: পালিশ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: পর্তুগজ (ব্রাজিলিয়ান)

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: পর্তুগজ (ইউরোপিয়ান)

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: রাশিয়ান

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: স্প্যানিশ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: তাগালোগ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: তামিল

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: উর্দ

লিক হেরে তো রিড টি ম্যাগাজিনে ইন: ভিয়েত্নামেসে

তো রিড মরে গ তো:

Foto

Aren

aFr

anci

sco

Leon

g/AF

PFr

anco

is N

el/G

etty

Imag

es

Kevin C. Cox/Getty Images

জুন মার্কুএস ডেভিডসনজাপানের জুন মার্কুএস ডেভিডসন স্বার্থবাদী হয়ে খ্যাতির অম্বেষণ করতে সুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি জানলেন যে তার জীবনের উদ্দেশ্য এর থেকেও অনেক মহান

10

14

ফ্যাবিওরাজিলীয় গোলকীপার ফ্যাবিও কিছু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার ক্লেশ তাকে খ্রীষ্টে নিয়ে আসে

যাকোব মুলেন্গা হাই স্কুল থাকা পর্যন্ত তিনি ফুটবল খেলেননি তা সত্বেও যাকোব মুলেন্গারের শীঘ্র উঠা তার ঈশ্বরের উপর নির্ভর হওয়ার কারণ হয়েছিল

আলেক্সান্ডার সামেডভরাশিয়ার আলেক্সান্ডার সামেডভ তার জীবন ও ক্যারিয়ার বিষয়ে নানা প্রশ্ন নিয়ে ভুগছিলেন, যতক্ষণ না তিনি কিছু পেয়েছিলেন যা তাকে উত্তর দিয়েছিল যে বিষয়সকল তিনি খুঁজে আসছিলেন

মার্কোস সেন্না পিনের মার্কোস সেন্না উপলবদ্ধি করেন যে জীবনের পরিস্থিতি নয়, কিন্তু খ্রীষ্ট আনন্দ ও শান্তি প্রদান করেন|

Jasp

er J

uine

n/G

etty

Imag

es

11

04

02

06

সূচীপত্

Dere

k Le

ung/

Get

ty Im

ages

2 FotoArena/Getty Images

প্রশংসকেরা তাকে “দ্য ব্লু ওয়াল” ডাকেন, এমন একটি ওয়াল যেখান দিয়ে একটিও বল পাশ হতে পারে না, আর তাকে একটি নায়ক মনে করেন|

কিন্তু ব্রাজিলীয় গোলকীপার ফ্যাবিও ডেভিডসন লোপেস মাসিএল-র জন্য, যিনি অনেক টাইটেল জিতেছেন আর ব্রাজিল ন্যাশনাল টিমের প্রত্যেক লেভেলে খেলেছেন, তার টাইটেল গুলোতে পৌছাবার পথটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ|

২০০৭এ তার ক্যারিয়ারে বাধা পরে যখন তার ডান হাঁটুর হাড়ের বন্ধনী তার ক্লাবের জন্য একটি প্রমুখ খেলা, ক্রুজেইরও খেলার সময় বিচ্ছেদ হয়ে যায়| অনেকে মনে করেছিলেন যে তার আর ফেরা হবে না|

“এটা একটি কঠিন সময় থাকা সত্তেও আমার জীবনে মহত্বপূর্ণ ছিল আমার জীবনশৈলীকে পুনঃ ফিরিয়ে আনবার জন্যে, আর জরুরীও ছিল যাতে ঈশ্বর আমার জীবনে কাজ করতে পারেন এমন এক পথে যা আমি তাকে কখনোও করতে দিই নি,” তিনি বলেন| “ঈশ্বর হলেন আমার জীবনের ভিত্তি|”

তার সমস্যায় এই সত্যটা জুড়ে গেল যে লোকেরা এই সন্দেহ করেছিলেন যে তিনি আঘাতগ্রস্ত হন কারণ তার ডান হাঁটু গোলপোস্টে হিট করে, কিন্তু এটা ছিল তার বাম হাঁটু যা আঘাতগ্রস্ত হয়েছিল|

“লোকেরা আমার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন,

বলছিলেন যে আমি মিথ্যে কথা বলছিলাম যে আমি টিম ছেড়ে দিয়েছি| এটা ছিল একটি আঘাতের বেদনা, একটি টাইটেল হারাবার দুঃখ, দুনিয়াকে আমার চরিত্রকে সন্দেহ করতে দেখা সবই আমার জীবনের সবচাইতে বড় ও উত্তম নির্ণয়ের দিকে পেরিত করেছিল: যিশুকে আমার প্রভু ও উদ্ধারকর্তা হিসেবে গ্রহণ করা| আমি আমার সম্পূর্ণ জীবন তাকে দিয়েছি|

ডাক্তারের ঘোষণাকে, যে ফ্যাবিও ছ মাস পরই ফিরে আসতে পারবেন, তার উপেক্ষা করে তিনি তার অর্ধেক সময়েই ফিরে আসেন|

আগামী সিজনগুলোতে, ক্রুজেইরও পুনরায় ফাইনাল হয়ে গেল, আর এই সময়ে তার টিম জিতল|

“অনেকেই বলতে পারত যে আমি আর ফুটবল খেলতে যাব না আর ক্রুজেইরওতে ফিরব না,” ফ্যাবিও বলেন| “কিন্তু ঈশ্বর আমাকে পুনঃ স্থাপিত করলেন তার সাথে চলার সুযোগ দিয়ে আর আমাকে সেখানে যেখানে আজ আমি রয়েছি স্থাপন করলেন| ঈশ্বর অদ্ভুত| যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমি গিয়েছিলাম তার ঠিক এক বছর পর, তিনি আমায় পুনঃস্থাপিত করেন| যেই দুঃখের মধ্যে দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম তা বিজয়ে পরিবর্তন হয়েগেল| ক্রুজেইরওর জন্য আমি ২০০টি খেলা খেলেছি, আমি একজন চ্যাম্পিয়ন ছিলাম আর মেজর টুর্নামেন্টে আমাকে বেস্ট গোলকীপার হিসেবে মনে করা হয়|”

তিনি ২০১৩তে আর একটি টাইটেল পান আর ফ্যাবিওকে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বেস্ট গোলকিপারের খ্যাতিনাম দেওয়া হয়| এই অভিজ্ঞতা তাকে এটা বুঝিয়েছে যে ঈশ্বর সত্য আর সকল কিছুর উপর তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন|

“সকলকিছু যা আমার জীবনে ঘটেছে তা ছিল ঈশ্বরের যোজনা,” তিনি বলেন| “তিনিই সকল কিছু নিশ্চিত করেছিলেন... আমার জীবনের ভিত্তি হল ঈশ্বর| তিনি আমাকে জায়গাতে বসাবার জন্য অপেক্ষা করেছেন আর আমাকে সেসব জিনিস দিয়েছেন যার কল্পনাও আমি করিনি| আমার অস্বাভাবিক স্বপ্নেও আমি কল্পনা করতে পারিনি এমন জীবন ও পরিবারের বিষয়ে যা আজ আমার আছে...তিনিই সত্য ঈশ্বর যিনি এসব ঘটিয়ে

ফ্যাবিওরাজিলীয় গোলকীপার ফ্যাবিও কিছু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তার ক্লেশ তাকে খ্রীষ্টে নিয়ে আসে

3

Latin

Con

tent

/STR

/ G

etty

Imag

es

স্ত্রী আর পুরুষেরা স্পোর্টস টিমে স্পোর্টস জীবন আর বিশ্বাসের জন্য মেন্টর আর পরামর্শদাতা হিসেবে সেবা করছেন|

জাম্বিয়ান ন্যাশনাল ফুটবল টিমের খেলোয়াড় যাকোব মুলেন্গারের পছন্দ তালিকায় ফুটবল কখনও টপে ছিল না|

যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন তিনি মোটর সাইকেল রেসের মত একটি খেলায় সমর্পিত ছিলেন|

তার সপ্তাহের দিনগুলোতে ছিল স্কুল যাওয়া, কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিনগুলো মোটর রেস খেলা দিয়ে ভরা থাকত|

তার স্কুল শেষ না করা পর্যন্ত ফুটবল তার জীবনের অংশ ছিল না| তিনি বলেন যদিও তখন তিনি “শুধু দেখতেন|” ফুটবল ছিল মজার জন্য|

“আমি কোনো ইয়ুথ টিমদের বা একাডেমিদের জন্য খেলিনি- শুধু মজার জন্য স্কুলে খেলেছি,” তিনি ভেবে বললেন| “আমি সাধারনত দেখেই অনেক কিছু শিখেছি| আমি টেলিভিশনে দেখেও অনেকটা শিখেছিলাম|”

স্কুল শেষ করার পর, তিনি নিশ্চিত করলেন ফুটবল নিয়ে গম্ভীর হবেন|

“আমি ভেবেছিলাম, “ঠিক আছে, এখন তোমার জীবনে কি করতে চাও তা নির্ণয় করার আগে কিছু সময় ফুটবল খেল আর দেখ কি হয়” (পূর্ব জাম্বিয়ান খেলোয়াড় ও কোচ) কালুশা (বোয়ালিয়া) আমাকে খেলতে দেখেন আর আমায় খেলতে বলেন আর বলেন ‘তুমি জানো কি এটাতে তুমি ভালো হতে পার|’ আমার জন্য এখনও এটা স্বপ্নের মত| আমি এটাকে নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা করতাম, ‘বলতাম একদিন আমি পেশাগত ফুটবল খেলব|”

তার ক্যারিয়ারের শেষের দিকেও ফুটবল না খেলা সত্বেও তার এলিট লেভেলে উঠাটা খুব শীঘ্র হয়েছিল|

যখন তিনি ২০ বছরের ছিলেন, তখন তিনি জাম্বিয়ার ন্যাশনাল টিম বানান আর তার প্রথম খেলায় স্কোর করেন- ১-০ ট্যাগর বিরুদ্ধে জয় করে যা ছিল ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাইযার খেলা| সেখান থেকে তিনি পরের দুটি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাইযার খেলায় গেলেন যা ছিল সেনেগাল ও মালিতে আর তারপর তিনি ন্যাশনাল টিমের একজন ফিক্সার হয়ে গেলেন|

কিন্তু তার অবিরত সফলতা তাকে আত্মবিশ্বাস যোগায়নি|“এটা ভয়ানক ছিল| আমি নার্ভাস ছিলাম| এটা আমার জন্য ছিল

একটি সম্পূর্ণ নতুন দুনিয়া,” তিনি বলেন| “এর আগে আমি কখনও এত বেশি লোকেদের সামনে আসিনি| আমার কোনো আইডিয়া ছিল না যে ন্যাশনাল খেলায় কি করতে হয়| আপনি এর বিষয়ে শুনেছেন; আপনি এর বিষয়ে পড়েছেন| এখন আপনি নিজেকে এমন স্থানে রাখেন যেখানে আপনাকে সমালোচিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে| যা কিছু আপনি করেন-ভালো বা মন্দ- তার

সমলোচিত হবে আর কেউ এর বিষয়ে কিছু বলবে তাও আপনাকে শুনতে হবে|”

যদিও তিনি ক্রমেই সহজ হয়ে যান আর ২০১০এ আফ্রিকা কাপে তিনি দুটি গোল স্কোর করেন| যদিও আগামী দুটি আফ্রিকা কাপ ২০১২ ও ২০১৩তে ফল নিরুৎসাহ জনক হয়| কিন্তু তিনি কোনটাতেও খেলেননি তার মধ্যে ২০১২তে যখন জাম্বিয়া দল টাইটেল জেতে|

“আমার জন্য এটা কঠিন ছিল, আপনি জানেন যে ২০১০এ আপনি আফ্রিকা কাপে একটি বিরাট ভূমিকায় খেললেন আর এখন আপনি এর অংশ হতে পারলেন না,” তিনি বললেন| “সেটা আমার জন্য বড় আঘাতের মত... যদিও আপনি খুশি তবুও সবসমই কেউ না কেই সে বিষয়ে বলবেই, এটা মনে করিয়ে দেয় যে আপনি তার অংশ নন|”

“আমি ঈশ্বরকে বহুবার জিজ্ঞাসা করেছি, ‘তোমার কাছে আসার পর, তোমার কাছে প্রার্থনার পর কেন এমনটা আমার সাথে ঘটছে...আর আমাকে ছাড়া সবাই ভালো? এটা পাওয়ার জন্য আমাকে কি করতে হবে?...আমার জন্যে সবসময়ই এটা ছিল কেন? কেন এরকম? ‘কেন’ দিয়ে থামতাম| প্রথমে আমি শিখেছি...যে আপনি কারো নিয়ন্ত্রণে হন না| আপনি যতই না চেষ্টা করেন, যা ঘটছে আপনি তার নিয়ন্ত্রণে নন...যদি আমার যিশু না থাকত ....তবে আমি হারিয়েই যেতাম|”

“আমি জানি যে আমি নিতান্তই ধন্য| আমি এমন একজন যে ফুটবলে যা কিছু করতে পারে| আমি জানি যে আমার শক্তি আমার থেকে নয়| এটা উপর থেকে আসে...ঈশ্বর আপনাকে পরের স্থরে নিয়ে যাবেন না যদি না আপনি কিভাবে চাপ সামলাতে হয় না জানেন...যত উপরে আপনি যাবেন (চাপ)ততটাই খারাপ হবে|”

“সকলকিছু যা ঈশ্বর ছাড়া গড়ে উঠেছে তা মূল্যহীন| আমি এখানে বসে আর শুয়ে বলবনা যে, “আমি এক পূর্ণ ও ঈশ্বরভীত জীবন কাটাচ্ছি| আমার বিশ্বাস যাঁচাই করা হয়েছে...আপনার অনেক চালেঞ্জ রয়েছে| আপনার অনেক কিছু আছে যা আপনার কাছে এসে দাঁড়ায়| আপনি কারো সাথে তা বলতে চান| আমি ভাবি যে যখন আপনি কাউকে খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাসে আনেন তখন আপনি তাদের বুঝতে সাহায্য করেন যে, “শোন, ঈশ্বর আপনার জীবনের কেন্দ্র হতে চলেছেন|”...এটা বলা হচ্ছে না যে আপনার কোনো চালেঞ্জ হবে না| খ্রীষ্টান হয়েও আপনার চালেঞ্জ থাকবে আর আপনার সমস্যা হবে... কিন্তু আপনি জানেন যে এসকলের উপর আপনার বিজয়ও হবে|”

যাকোব মুলেন্গাহাই স্কুল থাকা পর্যন্ত তিনি ফুটবল খেলেননি তা সত্বেও যাকোব মুলেন্গারের শীঘ্র উঠা তার ঈশ্বরের উপর নির্ভর হওয়ার কারণ হয়েছিল

5

VI I

mag

es v

ia G

etty

Imag

es

বিশ্বব্যাপী স্পোর্টস লোকেরা একে অন্যকে পবিত্র পথের মাধ্যমে সাহায্য ও উৎসাহিত করেন, সাহায্য করেন তাদের নিজেদের মূল্যকে বুঝতে যে তারা কি, নাকি তারা কি করেন তার ভিত্তিতে

জীবনের শ্বাস

6

7

জীবনের শ্বাসরাশিয়ার আলেক্সান্ডার সামেডভ তার জীবন ও ক্যারিয়ার বিষয়ে নানা প্রশ্ন নিয়ে ভুগছিলেন, যতক্ষণ না তিনি কিছু

পেয়েছিলেন যা তাকে উত্তর দিয়েছিল যে বিষয়সকল তিনি

খুঁজে আসছিলেন

Francois Nel/ Getty Images

S P O R TS S P E C T R U M00 TO S U B S C R I B E TO S P O R TS S P E C T R U M : C A L L 1 - 866 - 821 - 2971

ধার্মিক বিশ্বাসে ভঙ্গুর এক পরিবারে বড় হয়ে, আলেক্সান্ডার সামেডভ নির্ণয় করেছিলেন যে তিনি তার জীবন তার নিজ পথে ও নিজ শর্তে যাপন করবেন|

যতক্ষণ সমস্যা আসেনি ও তিনি উত্তরের অনুসন্ধানে বের হননি| সামেডভ, যিনি ইউ-২১ রাশিয়া ইন্টারন্যাশনালের আর সিনিয়র

ন্যাশনাল ফুটবল টিমের প্রতিনিধি ছিলেন আর যিনি নানান টপ রাশিয়ান টিমের জন্য খেলেছেন, যার ফুটবল ক্যারিয়ারে ও জীবনে সমস্যাও শুরু হয়ে যায়|

“জীবনের খুব শুরুর দিকে আমি আমার নিজ পথে চলতাম| কিন্তু একটি সময় এল যখন আমার ক্যারিয়ারে ও জীবনে সমস্যা হওয়া শুরু হয়| আমি সেই বয়সে চলে এসেছিলাম যেখান সেসব নিয়ে ভাবতে শুরু

করে দিয়েছিলাম| আর তখন আমি আমার বর্তমান স্ত্রী ইউলিয়ার সাথে দেখা করি| তিনি একজন বিশ্বাসি ছিলেন; তিনি চার্চ যেতেন| আমার সমস্যা দেখে, তিনি এমনিই বললেন, “সাশা, এটা আর ওটা...” আমি চার্চে একবার, দুবার এলাম আর আমি বুঝতে পারলাম| আমার জীবন বদলাতে আরম্ভ করল|

যদিও সামেডভ স্বীকার করেন যে “পড়াতা তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না” তার বাড়বার জন্য কারণ তিনি স্পোর্টস স্কুলে গিয়েছিলেন আর তিনি পড়া থেকেও বেশি “খেলাতে মনোযোগ দিয়েছিলেন,” যিশুতে সমর্পিত হওয়ার পর থেকে তিনি বাইবেল পড়াটা পছন্দ করেন|

কিন্তু বাইবেল পড়াটা ভিন্ন ছিল| এ বিষয়ে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক বা কোনও বইএর পৃষ্টার প্রাণহীন শব্দগুলির শ্রমসাধ্য অধ্যয়নের তুলনায় এটা ছিল একদম আলাদা|

“আমি বাইবেল পড়াকে অন্য বই পড়ার মত দেখি না, কারণ বাইবেল হল আধাত্মিক; বিশ্বাস সম্মন্ধী,” তিনি বলেন| “বাইবেল আমাদের শেখায়| এটা আমাদের জীবনের জন্য দিশা নির্দেশনা দেয়|”

সেই দিশার কিছুটা তাকে তার ক্যারিয়ারে দিক নির্দেশন দেয়|

“আমরা স্থানীয় চার্চে সেবা করি”

Epsi

lon/

Get

ty Im

ages

/ G

etty

Imag

es

Euro

Foot

ball/

Get

ty Im

ages

W E B S I T E : w w w. S p o r t s S p e c t r u m . c o m

সামেডভ স্পার্টটাক মস্কোর সাথে শুরু করেন যখন তিনি ১৬ বছরের ছিলেন| পাঁচ বছর পর তিনি এফ.সি লোকোমটিভ মস্কোর সাথে চার বছরের জন্য যোগ দেন এফ.সি মস্কোর সাথে দুটি সিজনে্র জন্য যোগদানের পূর্বে| সেখানে সফলতার পরে, একটি বড় ক্লাব, ডায়নামো মস্কোর জন্য তিনি লাফ দেন, তিনটি

সিজনে্র জন্য আর তখনই তিনি তার প্রথম সিনিয়র ন্যাশনাল টীমের অবতরণের জন্য তেরি হচ্ছিলেন ২০১১র স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে ইউরো ২০১২এর একটি কোয়ালিফাইং ম্যাচের একটি বিজয়ে|

সেই সফলতা তাকে এফ.সি লোকোমটিভে ফিরিয়ে আনে আগামী সিজনের জন্য তখন তিনি আরো উত্তম হতে আরম্ভ করলেন আর এক নিয়মিত স্টার্টার ও প্রশংসকের প্রিয় পাত্র হলেন|

যে প্রশ্ন তার জীবনের বিষয়ে ছিল তার একটা উত্তর হল আর সফলতাকে ও পরাজয়কে তার সামলানোর ধরন এখন বদলে গিয়েছিল|

তিনি ঈশ্বরের প্রতি দেখেন আর ঈশ্বর তার সাথে কথা বলেন আর তাকে নির্দেশনা দেন যেমন সামেডভ বাইবেল পড়েন|

ঈশ্বর সামেডভের স্ত্রীকে ব্যবহার করছেন তাকে সঠিক পথ দেখাতে|

“এটা এভাবেই কার্য করেছে,” তিনি বললেন| “তার (স্ত্রীর) দ্বারা, এটা করেছি|”

তখন আলেক্সান্ডার বাইবেল পরে দিশা খঁজে পেলেন| খেলা জগতে বাইবেলের আজ্ঞাকারীতা হল সকল কিছুর কেন্দ্র বিন্দু যা কিছু খেলার মাঠের ভেতরে বা বাইরে করা হয়ে থাকে|

9

একটি অনুগ্রহময় শান্তিএকটি অনুগ্রহময় শান্তি

10

স্পিনের মার্কোস সেন্না উপলবদ্ধি করেন যে জীবনের পরিস্থিতি নয়, কিন্তু খ্রীষ্ট আনন্দ ও শান্তি প্রদান করেন|এটা তবুও বোঝা যেতে পারত যদি মার্কোস সেন্না তার

কেরিয়ারে হাঁটুর চারটি আঘাতের সাথে জ্বলে ছাই হতেন আর নিরুৎসাহ ও নিরাশ হতেন|

কিন্তু স্পিনের তারকা খেলোয়াড়দের সাথে এটা একটু বিপরীত| “আমার হাঁটুতে চারটি আঘাত ছিল, কিন্তু ঈশ্বরের সাহায্য, আমি

ভাবি যে আমি সঠিক প্রতিউত্তর দিয়েছিলাম আর সেই সবের মধ্যেও আমি আনন্দের অনুভব করছিলাম,” তিনি বললেন| “আমি একই আঘাতগ্রস্ত অন্যান্য খেলোয়াড়দের বিষয়ে অবগত নই যে তারা আমার মত একই স্থরে খেলা জারি করে যেতে পেরেছিলেন কিনা| আমি ইশ্বরকে ধন্যবাদ, সন্মান ও মহিমা দিই তার আমায় দেওয়া ক্ষমতার জন্য|

“আমি শান্তিতে রয়েছি| আমি জানি ঈশ্বরের কাছে আমাদের সকলের জন্য যোজনা আছে| আমি যদিও আঘাতগ্রস্ত তারও একটি কারণ রয়েছে যে আমি আঘাতগ্রস্ত আর যেন বুঝি যে সময়ের সাথে আমি সুস্থও হয়ে যাব| আমি বুঝি যে ঈশ্বর আমার দেখাশোনা করবেন| আর সে জন্য আমি খুব নিশ্চিন্ত|

সেন্না, যিনি ব্রাজিলের দরিদ্রতায় জন্মে ছিলেন আর ৬ বছর বয়সেই তিনি ফুটবল খেলা আরম্ভ করেন, লুইস আরাগোনেস সেন্নার ভিল্লার্রিয়াল সি.এফ.-র কোচ তাকে স্প্যানিশ ন্যাশনাল টীমের জন্য খেলা করতে বলার পর তিনি একজন স্প্যানিশ নাগরিক হয়ে যান|

“আমার জন্মগত ব্রাজিলীয় নাগরিতা আমি ছেড়ে দিতে চলছিলাম না,” সেন্না বললেন| “সেই সময়ে, আমি ভেবেছিলাম এটা একটি ভালো পদক্ষেপ হবে দুটি নাগরিতা থাকা আর তা সৌভাগ্যেরও বিষয় আর স্পেনের জন্য খেলার সুযোগ, যা পৃথিবীর সর্বোত্তম টীমের মধ্যে একটি ছিল| সত্যিটা এই যে এটা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল| এটা অসাধারণ ছিল|”

সেন্না, যিনি দুটি ওয়ার্ল্ড কাপে খেলেছেন, স্পেনকে ২০০৮এর ইউরো কাপ জিততে সাহায্য করেছিলেন, ১৯৬৪ থেকে আসা ইউরো কাপ টাইটেলটি ১-০তে জার্মানিকে পরাজিত করে অর্জিত করেছিলেন| তার স্পেনকে ১৯৯৬এর পর জার্মানি থেকে প্রথম অপরাজিত দল হতে সাহায্য করার পর বহু প্রকাশনা তাকে

11

প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট নাম ভূষিত করেন| ২০০৬এর নভেম্বার মাস থেকে জুন ২০০৯ পর্যন্ত তিনি স্পেনকে ৩৫টি ধারাবাহিক ম্যাচে জিততে বা টাই করতে সাহায্য করেন, ব্রাজিলের দ্বারা টাই হয় আর স্পেনকে

সাহায্য করেন ১৫টি সোজাসুজি খেলার রেকড জিততে, একই সময়ে স্পেনকে সাহায্য করছিলেন ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং-এ রাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বার ১ নম্বর হতে| সূচকটি কনফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-০এর লোকসানে শেষ হয়|

“২০০৮এর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপটির জিতটি ছিল আমার ক্যারিয়ারের মুখ্য ঘটনা আর এক অদ্ভুত উৎসবের ন্যায় ছিল,” তিনি বললেন| “আমরা পেনাল্টির উপরও সাধারনতঃ জিতে থাকি| আমি জানতাম যে আমি একজন পেনাল্টি-টেকার হতে পারতাম| আমরা একদিন পূর্বেই পেনাল্টির আভ্যাস করেছিলাম, কিন্তু খেলার দিন আমরা ৯০ মিনিট প্লাস ৩০ মিনিট অত্যাধিক সময় খেলেছিলাম| আমি ক্লান্ত ছিলাম আর সারা শরীরে খিল

পড়ে গিয়েছিল| তবুও, যখন খেলার সময় এল, তখন আমি নিশ্চিন্ত ছিলাম আর অনুভব হচ্ছিল যেন ঈশ্বরের আত্মা আমার উপরে এসে আমাকে শান্তি ও

স্পষ্টতা দিচ্ছেন| তার সাহায্যে, আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে সট মারতে, স্কোর করতে ও স্পেনকে বিজয়ী বানাতে পেরেছিলাম| আমি জানি ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণে

ছিলেন আর তার যোজনা ছিল যেন এই কীর্তির দ্বারা আমি তার সন্মান করতে পারি|

“ফাইনালের দিনে, আমার লক্ষ্য সম্পূর্ণরূপে ম্যাচের উপর ছিল| এটা একটি মহান দিন ছিল বিশেষ করে সেদিন উৎসবে সকল স্পেনবাসীরা যোগ দিয়েছিলেন| যখন আমরা জিতেছিলাম, সে সময়টা সকল খেলোয়াড়দের জন্যেই ছিল মহানন্দের সময়| চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার অংশীদার হওয়ার কারণ আমাদের জীবন আর কখনই একরকম থাকবে না| এর থেকেও মহত্বপূর্ণ হল, যিশুর সাথেকার সম্পর্কের দরুন আমার জীবন আর একরকম থাকে নি|”

যিশুর সাথেকার সম্পর্ক ব্রাজিলের সাও সেয়াটানোর সাথে ছোট্ট যোগাযোগের সময়ে হয়েছিল আর এটা তার জীবনকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছিল|

“তারা আমাকে একটি সভাতে আমন্ত্রণ করেছিলেন আর আমি গিয়েছিলাম,” সেন্না বললেন| “আমার জীবনের সেই সময়ে আমি বাইবেল সম্মন্ধে তেমন একটা জানতাম না| মায়ের সাথে আমি চার্চে যেতাম, কিন্তু যেমন আমি বেড়ে উঠছিলাম আমি কিছু কারণ বসত যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম| আমি বাপ্তাইজিত বা তেমন কিছু ছিলাম না, কিন্তু আমার মা ও ঠাকুরমার কাছ থেকে কিছু কিছু জানতাম...আমি ২৫বছরের ছিলাম- প্রায় ২৬- আর তারা আমাকে সভাতে আমন্ত্রণ করেছিলেন| আমি তা পছন্দ করেছিলাম আর যেতে থাকলাম| আঠ মাস পর আমি খ্রীষ্টে বিশ্বাসি হলাম, ভিল্লার্রিয়াল আমাকে সাইন করল আর ভিল্লার্রিয়ালের একটি চার্চে আমি যোগ দিলাম যেখানে আমি বাপ্তাইজিত হয়েছিলাম|”

সেন্না বললেন যে, খ্যাতি, টাকা আর অন্যান্য বিষয়বস্তু যথেষ্ট নয় কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য|

“যদি আপনি কিছুর জন্য চিন্তিত হন, আমি মনে করি না যে টাকাই সকল কিছুর উত্তর,” সেন্না বলেন| “কিন্তু ঈশ্বরের আত্মা হলেন সকল কিছুর উপরে| ঈশ্বরই আপনাকে সুখ, শান্তি ও আনন্দ দিতে পারেন| শুধু এর বিসয়ে বলাটা আমার মুখে হাসি ফোঁটায়| এটা আমাকে বড্ড আনন্দিত করেছে আর সকলদিক থেকে আমার জীবন বদলে দিয়েছে| এটা সর্বোত্তম নির্ণয় যা একজন তার জীবনে নিতে পারে|”

“এখন আমি নিতান্তই শান্তিতে আছি কারণ আমি নিশ্চিত যে আমার জীবনের জন্য ঈশ্বরের একটি উদ্দেশ্য রয়েছে| যদিও আমি আঘাতগ্রস্ত, তার একটি কারণ আছে| ঈশ্বর আমার দেখাশোনা করেন আর তার জন্য আমি শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে

পারি আর মহানন্দ অনুভূতি করি|

12

Joe

Klam

ar /

Get

ty Im

ages

Emm

anue

l Dun

and/

AFP/

Get

ty Im

ages

13Charlie Crowhurst/Getty Images

14

15

ফুটবল হয় যখন রাজপথ

জাপানের জুন মার্কুএস ডেভিডসন স্বার্থবাদী হয়ে খ্যাতির অম্বেষণ করতে সুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি জানলেন যে তার জীবনের উদ্দেশ্য

এর থেকেও অনেক মহান

Derek Leung/Getty Images

S P O R TS S P E C T R U M00

জাপানিজ ফুটবল খেলোয়াড় জুন মার্কুএস ডেভিডসনের জন্য ধর্ম সর্বকালীনই খুব জটিল ছিল| তার নিয়ম| তার অনুশাসন| তার গঠন|

টোকিও, জাপানে বৃদ্ধি হওয়া ডেভিডসনের জন্য খ্রীষ্টে কম রুচি ছিল, যদিও তার মা একজন বিশ্বাসি ছিলেন|

তার বিপক্ষে তিনি তার দৃষ্টি একটিই বিষয় ফুটবলে রাখলেন| ইঙ্গিত ছিল যে তিনি তার প্রথম জীবনে একটি বিশেষ খেলোয়াড় হতে পারতেন, আর ১৫বছর বয়সে তিনি জাপান ছেড়ে ইংলান্ডের ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ফুটবল খেলতে চলে যান| সফলতা, টাকা আর খ্যাতি হয়েছিল তার জীবনের প্রাথমিক প্রয়াস| ফুটবল জগতে সুপারস্টারের জায়গা অর্জন ছিল তার লক্ষ্য|

কিন্তু এটা হয় ইংলান্ডে, যখন তিনি একা একটি বিদেশী দেশে ছিলেন, মাত্র যোগাযোগ করতে পারছিলেন, কদাচিৎ কাউকে জানতেন, তিনি উপলবদ্ধি করতে পারলেন যে ফুটবল ছাড়াও জীবনে আরও অনেক কিছু থাকতে পারে|

“পরদেশে একা থাকাটা ছিল কঠিন,” ডেভিডসন বললেন| “কিন্তু এটা সেখানেই যখন আমি বুঝতে শুরু করলাম যে আমার ঈশ্বরের প্রয়োজন আছে| আমি নিজ থেকেই চার্চ যেতে সুরু করলাম আর খ্রীষ্টে একজন

বিশ্বাসি হওয়ার মানেটা কি তার বিষয়ে আরও শিখতে লাগলাম| আমি আমার জীবন তাকে সমর্পণ করলাম আর একপ্রকারের শান্তি আর আত্মবিশ্বাস পেলাম যা আমার পূর্বে ছিল না| আমার ইংলান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ফুটবল, কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে আমার ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা|

ইংলান্ডের পর, যখন তিনি হাই স্কুলে ফুটবল খেলছিলেন ডেভিডসন আর তার পরিবার কালিফোর্নিয়াতে একসাথে থাকার জন্য চলে যান| তিনি তার দলের অন্যন্য মজবুত খেলোয়াড়দের দ্বারা ঘিরে ছিলেন, যেন মনে হচ্ছিল ঈশ্বর তাকে পরিপক্কের দিকে নিয়ে আসছিলেন ইংলান্ডের জাগৃতির পর| “পুনরায় ঈশ্বর আমাকে খ্রীষ্টান সংগতি ও উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে আকৃতি দিচ্ছিলেন,” বললেন ডেভিডসন|

তার দ্বিতীয়বর্গের শিক্ষা অনুসরণ করে ডেভিডসন জাপানে ফিরে আসেন পেশাগত ফুটবল খেলতে| তার গৃহে ফেরাটা ছিল যেন দুটি আদর্শের সংযোগ| চার বছর আগে যখন তিনি জাপান ছেড়ে চলে যান, তখন তার হৃদয় ও চিন্তাধারা একদম আলাদা ছিল| তিনি স্বার্থপরায়নের দ্বারা চালিত ছিলেন, দৃঢ় নিশ্চিত ছিলেন যে ফুটবল খেলায় টাকা ও খ্যাতি অর্জন করে একটি প্রভাব ফেলবেন| যখন তিনি চার বছর পরে ফিরে এলেন, তখন তিনি ছিলেন একজন স্বার্থহীন ব্যক্তি আর তিনি ফুটবলকে একটি রাজপথ হিসেবে ব্যবহার করে তার দেশে সুসমাচারের জন্য অন্যদের উপর প্রভাব

ফেলতে চাইলেন| “আমি মনে করি ঈশ্বর আমাকে ফুটবল খেলোয়াড় করে মহান কিছু,

তার সেবাকার্য করার জন্য সৃষ্টি করেছেন”, ডেভিডসন বললেন| “জাপানে খুব একটা খ্রীষ্টান নেই, তাই অনুসরণ করা, অধ্যায়ন করা আর খ্রীষ্টে বর্ধিত বিশ্বাস থাকাটা এখানে খুব কঠিন|”

“আমি বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর আমায় ইংলান্ডে ও কালিফোর্নিয়ায় এমন পরিস্থিতিতে রেখেছিলেন যেন সেখানে আমি প্রচুর বিশ্বাসি ও আস্থায় মহান ব্যক্তিদের দেখতে পাই| আর তা আমাকে বাড়তে সাহায্য করেছিল আর ঈশ্বর সম্মন্ধে অনেককিছু শিখেছিলাম|”

তার জাপানে ফিরে আসা তাকে উপলব্ধি করায় যে তিনি কতটা পরিবর্তন হয়েছেন, ঈশ্বর তার মধ্যে কতটা কাজ করেছেন, আর ঈশ্বর কতটা চাইতেন তার দ্বারা কিছু করতে অন্যদের উপরে প্রভাব ফেলতে|

“যখন থেকে আমি আমার ঈশ্বরকে জীবন দিয়েছি, আমার দৃষ্টিকোণটাই বদলে গিয়েছে,” ডেভিডসন বললেন| “আমি চিন্তা করতে শুরু করলাম যে কিভাবে আমি আমার ভূমিকার ব্যবহারের দ্বারা সুসমাচার শোনাতে পারি| ঈশ্বর আমায় দেখালেন যে আমার ক্যারিয়ার আমার থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর সকলই তার ছিল|”

যখন থেকে জাপানে এসেছেন, তার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পারফরমেন্সটা আরও দৃঢ় হয়েছে| তিনি তার প্রথম তিনটি সিজন জাপান

Etsuo Hara/Getty Images

খেলার দ্বারা প্রত্যেক দেশে প্রত্যেক শহরে সেবা করা

16

17

য্যে. লীগের দ্বিতীয় বিভাগে থেকে কাঁটালেন আর ২০০৪রে তার টীমকে জাপানের একটি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করলেন| তার পরবর্তী ছটি সিজন য্যে লীগের বিভাগ ১এ কাঁটান আর আগামী দুটি সিজনে লোয়ার ডিভিশনে কাঁটালেন যার মধ্যে ছিল যুক্ত রাষ্টের ক্যারোলিনা রেইল হাব্ক্স-র সাথের একটি নির্ধারিত খেলা| মেজর লীগ ফুটবলের ভ্যাঙ্কুভার ওয়াহিতক্যাপসের জন্য তিনি সম্পুর্ন ২০১২ আর ২০১৩ খেলে কাঁটিয়ে দেন| তিনি ওয়াহিতক্যাপস এফ.সি.-র “জক ম্যাকডোনাল্ড আনসাং হিরো অ্যাওয়ার্ড”-র দ্বারা পুরস্কৃত হন তার মাঠে নিরন্তর উপস্থিত থাকার জন্য|

“খেলার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করাটা হল আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ,”

ডেভিডসন বলেন| “আমি অন্যদের সুসমাচার শোনাবার, অন্যদের সেবা করবার আর উদাহরণ হওয়ার চেষ্টা করি| এটা সবসময় সহজ হয় না যখন প্রতিযোগিতা শক্ত হয়ে যায়, কিন্তু তবুও তখন আমি ক্ষমা চাই ও পার্থনা করি যেন ঈশ্বর আমায় ব্যবহার করেন| আমার ক্যারিয়ার হল তার হাতে আর আমি তার অনুসরণ করি যদিও তা আমায় কোথাও নিয়ে যেতে পারে, আর তার মধ্যে যদি ফুটবল নাও থাকে- তবুও আমার উদ্দেশ্য হল তার সেবা করা|”

অফ সিজনে, ডেভিডসন একটি স্পোর্টস মিনিস্ট্রি দলের দ্বারা মিশনারী কাজ করেন আর এখন তার হৃদয় ও চিন্তাধারা ১৫বছরের আগের তুলনায় এক ভিন্ন জায়গায় এসেছে| তার জীবন আর তার নিজের নেই; এটা ঈশ্বরের| ফুটবল আর তার নিজের নয়; তাও ঈশ্বরের যা তাকে সমর্পণ ও শান্তি দুটোতেই নিয়ে এসেছে|

“বাইবেলের পুরনো নিয়মের যোষেফ ছিলেন একজন সাধারণ বালক যাকে ঈশ্বর এক মহান ব্যক্তির রূপ দেন,” ডেভিডসন বলেন| “যদিও তার ভাইয়েরা দাসত্বে তাকে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন আর ভবিষ্যত তার কবর দেখছিল, কিন্তু যোষেফকে তার ঈশ্বরের জন্য বাঁচতেই হত| তারপর, যখন তিনি মহান ক্ষমতায় ও প্রভাবে আশির্বাদ প্রাপ্ত হলেন, তখন তিনি তার ভূমিকাকে ব্যবহার করে অন্যদের সাহায্য করলেন আর ঈশ্বরের কাজ করলেন|”

খেলা আন্দোলন খেলোয়াড়দেরকে বাঁচতে, প্রতিনিধিত্ব করতে আর তাদের বিশ্বাসের কাহিনীগুলোকে ওয়ার্ল্ড অফ স্পোর্ট-এ বলতে সাহায্য করে|