263
ননননন ননননননননন ননননন নননননননন ননন ঈঈঈঈঈ ঈঈঈঈঈঈ ঈঈঈ ঈঈঈঈ ররর রররররর ঈঈঈঈঈঈ ররররররর ররররর ররররর 1

 · Web viewব ব হ ক অন তরঙ গত : য ভ ল ব স শ ধ ম ত র স ব ম -স ত র র মধ য ই স ব ম বদ ধ স ব ম ও স

  • Upload
    others

  • View
    0

  • Download
    0

Embed Size (px)

Citation preview

পাঠ: ১১খ

কোর্স পুনরালোচনা

ঈসায়ী পরিবার

মূল রচনা

রুত মারখাম

অনুবাদ

তোফায়েল আহমেদ তুষার

wkÿv Kj¨vY Uªv÷

cÖ_g cÖKvk

ডিসেম্বর ২০১৪; 500 Kwc

মূল †jLK

রুত মারখাম

cÖKvkK

wk¶v Kj¨vY Uªv÷

†cv÷ e· 02

MvRxcyi 1700

cÖ”Q` ও অঙ্কন

মাইকেল হাগিন্স

Abyev`

তোফায়েল আহমেদ তুষার

[এই বইয়ে ব্যবহৃত কিতাবের আয়াতসমূহ বিবিএস এবং বাচিব কর্তৃক প্রকাশিত কিতাবুল মোকাদ্দস থেকে নেয়া হয়েছে।]

মেকআপ

এম. ফেরদাউস চঞ্চল

ms‡kvab

Gm‡KwU cwievi

g~j¨

100

gy`ªY

পার্থ wcÖ›Uvm©

eBwU jvBU dvD‡Ûkb evsjv‡`k Gi Avw_©K mnvqZvq gyw`ªZ

Copyright © 2014 Ruth Markham.

This work is licensed under a Creative Commons Attribution

Share-Alike 4.0 International Licence.

http://creativecommons.org/licenses/by-sa/4.0/ (English) or https://creativecommons.org/licenses/by- sa/4.0/deed.bn (Bengali).

This license means that you are welcome to make and distribute copies of this work. Copies may be given away or sold, without special permission. You may also adapt the material to make it more suitable for your needs. However, all derivative works must carry the same licence (i.e. you cannot restrict others' use of your version).

To obtain an electronic copy of this work and to find other translations

and adaptations, visit http://familylifecourse.org/.

cÖKvk‡Ki wb‡e`b

gnvb Avjøvn&cv‡Ki Kv‡Q Avgiv A‡kl K…ZÁ †h, Avgiv ÔCmvqx cvwieviÕ bv‡g †Kvm© eBwU Avgv‡`i gvZ…fvlvq cÖ¯‘Z I cÖKvk Ki‡Z †c‡iwQ| eB‡qi †jwLKv iæZ gviLvg evsjv‡`‡ki gvby‡li GKRb AK…wÎg eÜz| wZwb †ek wKQzw`b G‡`‡ki gvwU I gvby‡li Kv‡Q emevm K‡i evsjv‡`‡ki ms¯‹…wZ I Rxeb‡eva ch©‡eÿY K‡i‡Qb| G‡`‡ki gvby‡li cÖwZ Zuvi fv‡jvevmv Zuv‡K eBwU iPbvq DØy× K‡i‡Q| eBwU †Kvm© AvKv‡i wjwLZ| Avgv‡`i Avkv I wek¦vm, eBwU Cmvqx wek¦vmx‡`i c‡ÿ Av`k© Rxeb MV‡b we‡kl GK mnvqK f~wgKv cvjb Ki‡e| GB my›`i I Dc‡hvMx †Kvm© eBwU †jLvi Rb¨ Avgiv Gm‡KwU-i cÿ †_‡K †jwLKv iæZ gviLvg‡K AšÍwiK ab¨ev` Rvbvw”Q|

†Kvm© eBwU evOvwj ms¯‹…wZi m‡½ m½wZc~Y© cvwievwiK Rxe‡bi Dc‡hvMx K‡i †jLvi e¨vcv‡i AviI A‡bK †`wk I we‡`wk fvB‡evb A‡bK ˆah© I fv‡jvevmvmnKv‡i Zuv‡`i g~j¨evb civgk©, Z_¨ I gZvgZ w`‡q mvnvh¨ K‡i‡Qb| eBwU‡Z †Kvm© Dc‡hvMx K‡i wewfbœ Z_¨ ms‡hvR‡bi e¨vcv‡i me‡P‡q †ewk mvnvh¨ K‡i‡Qb Rbve wUg MÖxb| wZwb hy³iv‡R¨i bvMwiK Ges GKRb L¨vwZgvb wUBB we‡klÁ I M‡elK, Ges m‡e©vcwi wZwb Avgv‡`i AK…wÎg eÜz| Zuvi mü`q mn‡hvwMZv e¨ZxZ eBwU †jLv `yiƒn n‡Zv| GB mn‡hvwMZvi Rb¨ Zuvi Kv‡Q Avgiv A‡kl FYx Ges Zv Avgiv kÖ×vf‡i ¯§iY KiwQ| AviI †hme fvB‡evb GB Kv‡R mn‡hvwMZv w`‡q‡Qb Zuv‡`i mKj‡K Avgv‡`i web¤ª kª×v I K…ZÁZv Ávcb KiwQ|

eBwU Avgv‡`i gvZ…fvlvq cÖKv‡ki e¨vcv‡i Abyev`K, cÖædwiWvie„›`, MÖvwdK wWRvBbvimn mK‡ji AK¬všÍ kÖg I AvšÍwiK mn‡hvwMZvi K_v ab¨ev` I K…ZÁZvi m‡½ ¯§iY KiwQ| eBwU‡Z e¨eüZ Qwe¸wj I cÖ”Q` Gu‡K‡Qb Rbve gvB‡Kj nvwMÝ| GB Kv‡R Zuvi ˆkwíK `„wófw½ I wbôv mwZ¨B cÖksmvi `vwe`vi Ges Avgiv AKzÉwP‡Ë Zuvi wkíK‡g©i cÖksmv KiwQ| evsjv‡`‡ki gvby‡li Rb¨ GwU Zuvi fv‡jvevmvi cÖKvk Avi GRb¨ Avgiv Zuvi Kv‡Q FYx n‡q iBjvg|

eBwU cÖKv‡ki e¨vcv‡i mgy`q Avw_©K mn‡hvwMZv K‡i‡Q jvBU dvD‡Ûkb evsjv‡`k| GB ms¯’vwU Avgv‡`i AK…wÎg eÜz wn‡m‡e Gm‡KwU-i A‡bK MVbg~jK K‡g© mn‡hvwMZv K‡i Avm‡Q| ZvB, Gmgq jvBU dvD‡Ûkb evsjv‡`k-Gi mn‡hvwMZvmyjf gvbwmKZvi Rb¨ †mLv‡b Kg©iZ mK‡ji cÖwZ Avgiv mkÖ× K…ZÁZv cÖKvk KiwQ|

cwi‡k‡l, mK‡ji cÖ‡Póv, mn‡hvwMZv I Aby‡cÖiYvi dmj ÔCmvqx cwieviÕ eBwU G‡`‡ki gvby‡li Øviv eûj e¨eüZ n‡j Ges Zv‡`i my›`i cwievi MV‡b BwZevPK f~wgKv ivL‡j, Avgiv Avgv‡`i kÖg mv_©K we‡ePbv Ki‡ev| eBwU AviI my›`i I Dc‡hvMx Ki‡Z cvVK I †Kvm©Kvix‡`i KvQ †_‡K †h‡Kv‡bv ai‡bi MVbg~jK civgk© Avgiv mn‡hvwMZv wn‡m‡e mv`‡i MÖnY Kie|

mwebxZ

Gg. knx`yi ingvb

cwiPjK

wkÿv Kj¨vY Uªv÷

weRq w`em 2014

ভূমিকা

স্বাগতম! আমি আপনাদের শিক্ষক ও বন্ধু। এই বই সম্পর্কে আমি আপনাদের কিছু নির্দেশনা দিচ্ছি।

এই কোর্সের তিনটি প্রধান অংশ আছে:

ক) বাড়ির কাজ: এই বইয়ের প্রতি অধ্যায়ের (ক) এবং (খ) অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং সমস্ত নির্দেশনা পালন করুন। নির্দিষ্ট শূন্যস্থানে প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখুন এবং যেখানে বাছাইয়ের ব্যাপার আছে সেখানে সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

এই বইয়ে উত্তরপত্র দেয়া হয় নি, নিজ থেকে চিন্তা করে উত্তর দিতে পারেন। কোনো বিষয় বুঝতে না পারলে সঞ্চালকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

বাড়ির কাজ করার সময় আপনি অবশ্যই পাকরুহের সাহায্য চাইবেন। এই বিষয়গুলো কীভাবে নিজ জীবনে এবং নিজ পরিবারে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে একা একা মুনাজাত করবেন।

খ) সপ্তাহিক দলীয় আলোচনা: কোর্সের সদস্যরা সঞ্চালকের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে একত্রে বসে, সেই সময় বাড়ির কাজ নিয়ে আলোচনা করা, মুনাজাত করা এবং কোর্সের শিক্ষা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করুন। সঞ্চালকদের জন্য আলাদা আদেশ উপদেশমূলক একটা শিক্ষক সহচর বই রয়েছে।

গ) ব্যবহারিক কাজ: প্রতি অধ্যায়ে একটা করে ব্যবহারিক কাজ দেয়া আছে। এই কাজ পরের অধ্যায়ের দলীয় আলোচনার আগে অবশ্যই করতে হবে, যেন দলের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা যায়। এই কাজ নিয়ে যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তবে দলীয় আলোচনার সময় কাজ করার আগে সঞ্চালককে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

এই কোর্সের জন্য আপনার দরকার একটি কোর্স বই, একটি কলম এবং একটি কিতাবুল মোকাদ্দস।

(লক্ষণীয়: এই সংস্করণে জামাতের পরিবর্তে মণ্ডলী, তরিকাবন্দির পরিবর্তে বাপ্তিস্ম, এছাড়াও আরো কিছু শব্দের পরিবর্তন করা হয়েছে।)

সাবধান! এই কোর্সের লক্ষ্য শুধু বেশি জানা নয় বরং আপনার পারিবারিক জীবনের পরিবর্তন। আসুন, আমরা শুরু করি...

সূচিপত্র

পাঠ নং বিষয় পৃষ্ঠা

পাঠ ০১ক: নাজাত পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন আনে ----------------------------------------------৭

পাঠ ০১খ: আল্লাহ আমাদের আদর্শ ---------------------------------------------------------------১৪

পাঠ ০২ক: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর এক শরীর হওয়া: আল্লাহ কর্তৃক যুক্ত হওয়া ----------------------২০

পাঠ ০২খ: বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর এক শরীর হওয়া-মানুষ তা আলাদা না করুক ---------------------২৬

পাঠ ০৩ক: বৈবাহিক অন্তরঙ্গতা: যে ভালোবাসা শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই স্বীমাবদ্ধ ---------------------৩৪

পাঠ ০৩খ: বৈবাহিক অন্তরঙ্গতার উদ্দেশ্য ----------------------------------------------------------৪২

পাঠ ০৪ক: স্বামী ও স্ত্রীর ভূমিকা: সমান কিন্তু ভিন্ন --------------------------------------------------৪৭

পাঠ ০৪খ: স্বামী ও স্ত্রীর ভূমিকা: পরিবর্তনশীল সময়ে স্বামী-স্ত্রীর কাজের ভিন্নতা -----------------------৫৩

পাঠ ০৫ক: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ: সহভাগিতা ------------------------------------------------৬১

পাঠ ০৫খ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ: যা এড়িয়ে চলা উচিত ---------------------------------------৬৮

পাঠ ০৬ক: পরিবারে ক্ষমা: কেন ক্ষমা করবো? -----------------------------------------------------৭৩

পাঠ ০৬খ: পরিবারে ক্ষমা: পারিবারিক কলহ মীমাংসা করা ------------------------------------------৭৯

পাঠ ০৭ক: টাকাপয়সা ও পেশা ------------------------------------------------------------------৮৬

পাঠ ০৭খ: টাকাপয়সা ও জ্ঞান -------------------------------------------------------------------৯৩

পাঠ ০৮ক: পিতা-মাতাকে সম্মান -----------------------------------------------------------------১০০

পাঠ ০৮খ: পরিবারের অন্যান্য সদস্যসমূহ ---------------------------------------------------------১০৬

পাঠ ০৯ক: পরিবারে শিশু সন্তানকে স্বাগত জানানো -------------------------------------------------১১২

পাঠ ০৯খ: পরিবারে আল্লাহর স্থান ----------------------------------------------------------------১১৯

পাঠ ১০ক: বিয়ের চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত? --------------------------------------------------------------১২৫

পাঠ ১০খ: জীবন সঙ্গী বেছে নেয়া ----------------------------------------------------------------১৩১

পাঠ ১১ক: সহভাগিতা এবং পরিবার --------------------------------------------------------------১৩৮

পাঠ ১১খ: কোর্স পুনরালোচনা -------------------------------------------------------------------১৪৬

পাঠ : ১ক

নাজাত পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন আনে

এই পাঠে, আমরা শিখব যে, আমাদের জীবনে পারিবারিক সম্পর্কগুলো হচ্ছে আল্লাহপাকের পরিকল্পনা কিন্তু মানুষের পাপের কারণে সেই সম্পর্কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমরা যারা মসীহতে বিশ্বাসী, আল্লাহপাক আমাদের পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন এনেছেন।

(১) পারিবারিক জীবনের-ভালো ও মন্দ

০১।

আসসালামু ওয়ালাইকুম। সালমা, তুমি কেমন আছ?

ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছি, আল্লাহকে অনেক শুকরিয়া। মিতুর বাচ্চাটা এখন অনেকটা ভালো এবং হারুন তার পরীক্ষায় পাশ করেছে। আপনার মায়ের ডায়াবেটিকসের অবস্থা কি এখন ভালো? আর আপনার ভাইয়ের বিয়ে কবে হচ্ছে?

মমতাজ সালমা

আমরা যখন আমাদের কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করতে যাই তখন প্রথমে আমরা যে কাজটা করি, তা হলো তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়া। আমরা তখন জানতে চাই কার বিয়ে হচ্ছে, কে অসুস্থ আছে, কার পরীক্ষা চলছে বা কার বাচ্চা হবে অথবা কে চাকরির খোঁজ করছে ইত্যাদি।

মানুষের জন্য সংসারধর্ম পালন ও পারিবারিক বংশানুক্রম বৃদ্ধি আল্লাহপাকেরই একটি পরিকল্পনা।

পড়ুন পয়দায়েশ ১:২৭-২৮ আয়াতটি পাঠ করে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন ।

শুরুতে, আল্লাহ পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে মানুষ সৃষ্টি করলেন এবং তাদেরকে বংশবৃদ্ধির ক্ষমতায় পূর্ণ হতে বললেন (পয়দায়েশ ১:২৭-২৮)। অতএব:

(ক) পুরুষ ও মহিলা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসময় স্বামী আর স্ত্রী হবে এটা কার পরিকল্পনা? -----------------------

(খ) স্বামী ও স্ত্রী এক সময় মা-বাবা হবে অর্থাৎ তারা ছেলেমেয়ের জন্ম দিবে এটা কার পরিকল্পনা? ----------------------

(গ) আমাদের ভাই ও বোন থাকবে এটা কার পরিকল্পনা? ---------------------------

(ঘ) আমাদের অন্যান্য আরও আত্মীয় যেমন- নাতি-নাতনি, দাদা-দাদি নানা-নানী ইত্যাদি থাকবে এটাও কার পরিকল্পনা? ---------------------------

২। আমরা দেখি যে, এই পারিবারিক সম্পর্কগুলো সবই আল্লাহপাকের পরিকল্পনা ছিল। তিনি মানুষকে বংশবৃদ্ধি করার জন্য হুকুম দিয়েছিলেন।

কোনো পরিবারের সদস্য হওয়ার কী কী ভালো দিক আছে? নিচে আপনার নিজের উত্তর লিখুন।

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আল্লাহপাক আমাদের প্রত্যেককে পরিবার দান করেছেন সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য একটু সময় নিন।

০৩। তবুও আমরা প্রায় সবাই জানি যে, পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষা করার বিষয়টি অনেক কঠিন কাজের মধ্যে একটি। এটা অনস্বীকার্য যে অনেক ভালো পরিবারেও নানা সমস্যা থাকে। এই পরিবারের সদস্যদের আলাপ শুনুন:

আয়েশা (মা): আমি যখন আমার ছেলের বৌয়ের উপর রেগে যাই, তখন তাকে মনে করিয়ে দেই যে, বিয়ের সময় তার পরিবার আমাদের বেশি কিছু দেয় নি, আর তাই আমাদের কাছ থেকেও বেশি কিছু আশা করার অধিকার তার নেই।

সালমা (ছেলের-বৌ): আমি বুঝি না, কেন আমি এসব লোককে সম্মান করবো। তারা অশিক্ষিত, কেবল টাকা-পয়সার দিকে তাদের আগ্রহ- তারা মোটেও আমার বাবা-মায়ের পরিবারের মতো নয়। আমার বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তো অনেক সোজা-সরল!

মানিক (বড় ছেলে): আমার স্ত্রী সালমা, তাকে তো আমার প্রয়োজন মেটানোর জন্যই বিয়ে করেছি। সে যদি কখনও বলে যে সে ক্লান্ত তখন আমি তাকে মার লাগাই।

রহিম (ছোট ছেলে): আমার বাবা-মা তো জানে না যে, আমি স্কুল থেকে আসার পর রোজ রাতে মেয়েদেরকে মোবাইলে মেসেজ ও মিস কল দেই। তারা মনে করে আমি পড়াশুনা করছি। এসব কথা তাদের কাছে বলে অযথা মার খাওয়ার কোনো মানে আছে?

পরিবারের লোকেরা একে অপরের উপর রাগারাগি করে। আমরা একে অপরকে কটুকথা বলি বা একে অপরের সম্বন্ধে অভিযোগ করি। মাঝে মধ্যে আমরা একে অপরকে হিংসা করি বা অন্যের উপর রূঢ়ভাবে শাসন চালাই, বা কিছু স্বাধীনতা লাভের জন্য বড়দের সঙ্গে প্রতারণা করি।

পারিবারিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে আল্লাহর ধারণা কে অনুসরণ করছে বলে আপনি মনে করেন? নিচে প্রতিটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) আয়েশা

(খ) সালমা

(গ) মানিক

(ঘ) রহিম

(ঙ) তাদের কেউ না

০৪। আল্লাহর কালাম শিক্ষা দেয় যে, এই পরিবার হোক বা অন্য যে কোনো পরিবার হোক, পরিবারগুলিতে সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষের পাপ। হজরত আদম ও বিবি হাওয়ার কথা স্মরণ করুন- আল্লাহ যখন তাদের তৈরি করলেন, তখন আল্লাহর সঙ্গে এবং তাদের একে অপরের মধ্যে কত ভালো সম্পর্ক ছিল। তবুও তারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন এবং নেকি-বদি জ্ঞানের গাছের ফল খেয়েছিলেন (আপনি এ বিষয়টি পয়দায়েশ ২-৩ অধ্যায় থেকে পড়ে নিতে পারেন)।

সেই সময় থেকে, আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ইচ্ছা নিয়েই সব মানুষের জন্ম হয়েছে- আর তাই তারা বিদ্রোহ করেই চলেছে। আল্লাহর কালামে একে ‘গুনাহ’ বা ‘পাপ’ বলা হয়েছে।

(ক) আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ইচ্ছা নিয়ে কারা জন্ম নিয়েছে? একটি মাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(১) সমস্ত লোক

(২) কেবল খারাপ লোকেরা

(৩) কেবল অধার্মিক পরিবারের লোকেরা।

(খ) এই বিদ্রোহকে আল্লাহর কালামে কী বলা হয়েছে? ---------------------------

০৫। পারিবারিক সম্পর্ক কোনো কোনো সময় অনেক বেদনাময় হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, সমস্ত মানুষ এবং পারিবারিক সম্পর্ক আল্লাহপাকের বিরুদ্ধে আমাদের পাপ ও বিদ্রোহের দ্বারা নষ্ট হয়ে গেছে।

(ক) পারিবারিক সম্পর্কগুলি কার মহৎ পরিকল্পনার একটি? ---------------------------

(খ) পারিবারিক সম্পর্কসমূহের ক্ষেত্রে কষ্ট বা বেদনার মূল কারণ কী? ---------------------------

(২) এখন আমরা নাজাত পেয়েছি

০৬। পাপের কারণে সব মানুষেরই পারিবারিক ও সম্পর্কজনীত সমস্যা আছে। ঈসা মসীহর উপরে ঈমান আনার ফলে এটা পরিবর্তন করা কীভাবে সম্ভব হয়েছে, আসুন সেটা দেখা যাক।

পড়ুন তীত ৩:৩-৮ আয়াতটি পড়ে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন।

০৭। ঈসা মসীহকে জানার আগে অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা যেমন ছিলাম, সে বিষয়ে আল্লাহর কালাম কী বলে? (তীত ৩:৩ দেখুন) প্রতিটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) বুদ্ধিমান ছিলাম

(খ) একে অপরকে ঘৃণা করতাম

(গ) স্বাধীন ছিলাম

(ঘ) অবাধ্য ছিলাম

(ঙ) আমাদের কামনা-বাসনার গোলাম ছিলাম

(চ) ভুল পথে চলতাম

(ছ) হিংসা করতাম

০৮। আপনি যখন আপনার চারপাশে তাকান, তখন কি আপনি পরিবারগুলিতে এই ধরনের সমস্যা দেখতে পান?

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

দলের সঙ্গে একটি উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

০৯। কিসের ফলে এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এসেছে (৪-৫ আয়াত)? কেবল একটি উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) আমরা পড়া-লেখায় শিক্ষিত হয়েছি, আর তাই কীভাবে পারিবারিক সমস্যা মিটানো যায় সেটি আমরা জানি।

(খ) পরিবর্তন আনা আমাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল, কিন্তু আল্লাহ আমাদের নাজাত দিয়েছেন এবং নতুন করে তৈরি করেছেন।

(গ) আমরা যেহেতু আরও ধার্মিক হয়েছি এবং ভালো কাজ করছি, তাই আল্লাহও আমাদের সাহায্য করছেন।

১০। আমরা যখন ‘নাজাত’ সম্বন্ধে পড়ি তখন সাধারণত এটা বুঝি যে, আল্লাহ দোজখের শাস্তি থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন এবং বেহেস্তের পথ খুলে দিয়েছেন। এটি সত্য, কিন্তু আল্লাহর কালাম থেকে দেখা যায় যে, এটার চেয়েও নাজাত আরও বড় বিষয়।

নিচে নাজাত সম্পর্কে আরও ছয়টি বক্তব্য আছে। দেখুন (তীত ৩:৩-৭) এবং বক্তব্যগুলোর পাশে ‘সত্য’ বা ‘মিথ্যা’ লিখুন।

------------ (ক) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ এখন কামনা-বাসনার গোলামি থেকে আমাদের মুক্ত করেন।

------------ (খ) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ এখন একে অপরকে হিংসা করা থেকে আমাদের রক্ষা করেন।

------------ (গ) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ এখন সঠিক পথে আমাদের পরিচালনা করেন।

------------ (ঘ) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ এখন আমাদের সাহায্য করার জন্য আমাদের কাছে পাকরুহকে দেন।

------------ (ঙ) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ আমাদের অনন্ত জীবনের আশ্বাস দেন, যা এখন আমাদের জীবন যাপনে সাহায্য করে।

------------ (চ) নাজাত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ আমাদের দিল ধুয়ে পরিষ্কার করেন।

১১। হজরত পৌল, যিনি এই চিঠি লিখেছিলেন, তিনি তীতকে সেই বিষয়গুলি শিক্ষা দিতে বলছিলেন-যেগুলি বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহপাক করেছেন। ফলে, বিশ্বাসী বা ঈমানদারেরা কী করে নিজেদের ব্যস্ত রাখার দিকে মনোযোগী হবে (৮ আয়াত)?

অন্যদের ------------------------------।

১২। আপনার প্রতিবেশী শাহনাজ আপনার সুন্দর পারিবারিক জীবন দেখে জানতে চান আপনারা কীভাবে সেটি পরিবারে রক্ষা করেন। আপনি জবাবে তাকে কী বলবেন? কেবল একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) একটি সুন্দর পারিবারিক জীবন যাপন করা তো প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আর এজন্য তোমারও যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।

(খ) আমি যখন ঈসার মাধ্যমে নাজাত পেলাম, তখন আল্লাহ আমাকে নতুন করে তৈরি করলেন। তাই আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা এবং অন্যের উপকার করা এখন আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে।

১৩। সাদিক ও সিরাজ উভয়ই অন্যদের উপকার করতে চায়। কার জীবনে ঈমানের ভিত্তি সবচেয়ে ভালো (আয়াত ৪-৯)? কেবল একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) সাদিক: ঈসার দেয়া নাজাত যেভাবে আমাকে পরিবর্তন করেছে, সেটি যখন আমি স্মরণ করি তখন আমি অন্যদের উপকার করতে আগ্রহী হই।

(খ) সিরাজ: আমি যখন অন্যদের উপকার করি তখন আমি সমাজের কাছ থেকে সম্মান পাই।

১৪। অদিতি যখন ছোট, তখন সে তার বোন পায়েলকে হিংসা করতো, কারণ পায়েল খুব সুন্দরী ছিল। অদিতি তার বোনকে ভালোবাসতে পারতো না। তাই সে পায়েলকে সব সময় কটুকথা বলতো। পরবর্তীতে অদিতি যখন ঈসার উপরে ঈমান আনলো, তখন সে জানতে পারলো যে, আল্লাহপাক তাঁর নিজ রহমতের জন্য তাকে একটি নতুন জীবন দিয়েছেন। তিনি তাকে পাকরুহ দান করেছেন। আর তখন থেকে যখনই অদিতির মনে পায়েলের প্রতি হিংসা তৈরি হতো, তখনই তার মনে পড়তো যে তার ভিতরে পাকরুহ বাস করছেন। এভাবে আল্লাহ তাকে তার আগের জীবনের আচরণ থেকে

রক্ষা করেছিলেন। তাই অদিতি পাকরুহকে অনুরোধ করতো, যেন পাকরুহ তাকে তার বোন সম্বন্ধে কোন খারাপ চিন্তা বাদ দিতে সাহায্য করেন। সে তখন পায়েলকে উপকার করার উপায় খুঁজতে শুরু করলো।

অদিতির পক্ষে তার বোনকে উপকার করা কিসের জন্য সম্ভব হলো? একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) যখন অদিতি আল্লাহর দেয়া নাজাতের কথা স্মরণ করতো, তখন আল্লাহ তার মন পরিবর্তন করতেন।

(খ) অদিতি তার নিজের চেষ্টাতেই তার মন পরিবর্তন করেছিল।

১৫। পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলীর মূল কারণ কী? ------------------

আমরা এখন আল্লাহর কাছ থেকে কি পেয়েছি যা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে দেয়? -------------------------------------------------

(৩) মসীহ আমাদের প্রভু

১৬। আমরা তীত কিতাবে দেখি যে, আমাদের পক্ষে একে অপরের উপকার করা সম্ভব, কারণ এখন আমরা নাজাত পেয়েছি। আল্লাহ আমাদের নতুন করে তৈরি করেছেন।

এই অংশে আমরা দেখবো যে, পরিবারে আমাদের অবশ্যই সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, কারণ মসীহ ঈসা আমাদের প্রভু। পড়ুন মথি ৭:২১-২৩। আয়াতটি পড়ে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন।

১৭। মথি ৭:২১-২৩ আয়াতে কে বেহেস্তি রাজ্যে প্রবেশ করবে বলে ঈসা মসীহ বলেছেন? একটি মাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) প্রত্যেকেই যারা অন্য লোকদের প্রতি সদয়।

(খ) তারা, যারা ঈসা মসীহকে ‘প্রভু প্রভু’ বলে এবং তাঁর বেহেস্তি পিতার ইচ্ছা পালন করে।

(গ) প্রত্যেকেই যারা ঈসা মসীহকে ‘প্রভু প্রভু’ বলে।

১৮।মথি ৭:২১-২৩ আয়াতে, ঈসা মসীহর কথা অনুসারে, নিচের কোন ব্যক্তি সেই একজনের চরিত্র প্রকাশ করছে যিনি বেহেস্তি রাজ্যে প্রবেশ করবেন? একটি মাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

বি

আমার কাছে ঈসা মসীহ অন্যান্য নবিদের মতোই আরেকজন নবি, কিন্তু আমি সব সময় আমার প্রতিবেশীর উপকার করার চেষ্টা করি।

(ক) রফিক

আমি জানি যে, ঈসা মসীহ হচ্ছেন আমাদের প্রভু, আর তাই কিসে তিনি সন্তুষ্ট হন, সেটি জানার জন্য আমি প্রতিদিন পাককিতাব পড়ি। তারপর ঈসা মসীহর শিক্ষা আমি আমার জীবনে পালন করি, আর এ কারণেই আমি আমার প্রতিবেশীর উপকার করি।

(খ) নীলা

আমি বিশ্বাস করি যে, বিচারের দিনে ঈসা মসীহ আমার পক্ষে সুপারিশ করবেন যাতে আমি বেহেস্তে যেতে পারি। তাই, এখন আমি কীভাবে জীবন কাটাচ্ছি তাতে আসলে কিছু যায় আসে না।

(গ) হারুন

১৯। বেহেস্তি রাজ্যে ঈসা মসীহই রাজা! আমরা যদি বেহেস্তি রাজ্যের সদস্য হই তবে, ঈসা মসীহ আমাদের প্রভু ও রাজা। তাই, আমরা যখন পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আসি, তখন সবার চেয়ে আমাদের কার শিক্ষা শোনা উচিত? একটি মাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) পাককিতাব থেকে ঈসা মসীহর শিক্ষা

(খ) পিতামাতা ও সমাজের মুরব্বিদের শিক্ষা

(গ) পরিবার সম্বন্ধে স্কুলের বই বা এনজিওদের শিক্ষা

(ঘ) টিভিতে দেখানো বিভিন্ন নাটক থেকে শিক্ষা

(ঙ) পীর ফকির ও অন্যান্য ধর্মীয় গুরুর শিক্ষা

(চ) ঈমামের শিক্ষা

২০। এই ঈসায়ী পরিবার কোর্সে আমরা পাককিতাবে ঈসা মসীহ, কিতাবভিত্তিক পারিবারিক জীবন সম্পর্কে যে শিক্ষা দিয়েছেন তা অধ্যয়ন করবো। প্রত্যেকেই যারা ঈসা মসীহকে তার নাজাতদাতা হিসাবে গ্রহণ করেছেন, তাদের ঈসা মসীহকে প্রভু হিসাবেও গ্রহণ করতে হবে। মসীহ যেহেতু আমাদের প্রভু, তার কথা আমাদের অবশ্যই শুনতে হবে।

(ক) পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলির মূল কারণ কী? ---------------------

ঈসা মসীহ চান না আমরা পাপের পথে চলি। তিনি আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখতে চান।

মসীহ আমাদের কে, যে আমরা তার শিক্ষা অনুসরণ করবো?

(খ) মসীহ আমাদের ------------------- ।

ব্যবহারিক কাজ:

২১। মাঝে মাঝে পরিবারের কোনো সদস্যকে ভালোবাসা কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় কারও প্রতি মন এতো কঠিন হয়ে যায় যে তার উপকার করতেও আমরা চাই না। কিন্তু যখন আমরা আল্লাহর কালামের সত্যে বিশ্বাস করি এবং তাঁর সাহায্য চাই তখন তিনি আমাদের মন পরিবর্তন করেন। ১৪ নং অংশে অদিতির জীবনে এমনটিই ঘটেছিল।

আপনার পরিবারে কি ঘটলে পর আপনার বেশি বিরক্ত লাগে এবং অন্যদের ভালোবাসতে আপনার কষ্ট হয়। এমন একটি ঘটনার কথা চিন্তা করুন।

তীত ৩:৩-৮ ও মথি ৭:২১-২৩ আবার পড়ুন। এই আয়াতগুলো থেকে কয়েকটা শিক্ষা খুঁজে বের করুন যা এইরকম পরিস্থিতিতে আপনার মনে রাখা উচিত।

এই শিক্ষাগুলো বিশ্বাস করলে কীভাবে সেগুলো আপনাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে তা লিখুন।

একটু সময় নিয়ে, এই সত্য শিক্ষাগুলোর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন এবং আপনার পরিবারের যে কোনো একজন সদস্যকে আপনি যাতে উপকার করতে পারেন, সেজন্য আল্লাহর সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করুন। এরপর এই সপ্তায় সেই ব্যক্তির উপকার করার জন্য কিছু করুন।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পুনরালোচনা:

২২। (ক) পারিবারিক সম্পর্কগুলি কার মহৎ পরিকল্পনার একটি? -------------------------

(খ) পারিবারিক সম্পর্কে দুঃখ কষ্টের মূল কারণ কী? -------------------------

২৩। (ক) ঈমানদার হিসেবে, আমরা আল্লাহর কাছ থেকে কী পেয়েছি যা আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে (তীত ৩)?

এখন আমরা ------------------------- পেয়েছি।

(খ) ঈমানদার হিসেবে, পারিবারিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য আমাদের কার শিক্ষা সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করা উচিত?

------------------------- -------------------------

(গ) ঈসা মসীহ আমাদের কে, যে আমরা তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করবো?

(মথি ৭: ২১-২৩)

মসীহ আমাদের ---------------------- ।

২৪। এই পাঠ থেকে আপনার শেখা একটি বিষয়ের কথা লিখুন।

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাঠ: ১ক

নাজাত পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন আনে

2

3

পাঠ : ১খ

আল্লাহ আমাদের আদর্শ

(১) পারিবারিক জীবনের আদর্শসমূহ

০১। আপনি যখন বেড়ে উঠছিলেন সেই সময়ে আপনার পরিবারের কথা ভাবুন। আপনার বাবা-মা কি নিজেদের পরিবারের আত্মীয়স্বজন ও বাচ্চাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে অন্যকারও আদর্শ অনুসরণ করেছিলেন? তারা কার আদর্শ অনুসরণ করেছিলেন? আপনার দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

০২। এখানে কতগুলি লোকের কথা বলা হয়েছে যাদের পারিবারিক জীবনের আদর্শ আমরা অনুসরণ করতে পারি। এগুলির মধ্যে কাদের আদর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে?

(ক) আমাদের দাদা-দাদি বাবা-মার আদর্শ যারা প্রচলিত রীতি-নীতি অনুযায়ী সংসার পরিচালনা করছেন।

(খ) ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ।

(গ) বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা যেমন সিনেমা, টিভি ও উপন্যাসের চরিত্রসমূহ।

(ঘ) আপনি কী অন্য আর কারো উদাহরণ চিন্তা করতে পারেন? ------------------------------------------------------------------

০৩। মঈনের বাবা-মা তার বিয়ে দিলেন পাশের গ্রামের সুন্দরী যুবতী রহিমার সঙ্গে। রহিমার বাবা-মাকে মেয়ের বিয়েতে অনেক যৌতুক দিতে হল। বিয়ের পরে রহিমা শ্বশুর বাড়ি এলো এবং সেখানে শাশুড়ির সঙ্গেই তার অধিকাংশ সময় কাটতো, আর কীভাবে একজন ভালো ও সংসারী বৌ হওয়া যায় শাশুড়ি তাকে সেই শিক্ষা দিতেন। মঈন চাইতো, সে যখন বাড়ি আসে তখন রহিমা তার খাবার দিবে, বাড়িতে ঘর-কন্নার কাজ করবে, তার সঙ্গে বিছানায় শোবে এবং ছেলেমেয়ের জন্ম দিবে, কারণ সে দেখে এসেছে তার বাবা-মায়ের সম্পর্কও সবসময় এইরকমই ছিল। সে কখনও তার কোনো সিদ্ধান্ত ও চিন্তা-ভাবনার বিষয় রহিমাকে বলতো না, কিন্তু এটা চাইতো যে রহিমা যেন সবসময় তার সেবা-যত্ন করে। রহিমাও তার মা ও নানী-দাদির মতো এটাই জানতো যে, সে যদি তার স্বামী, শাশুড়ি ও ধর্মীয় কর্তব্যের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে সে শ্বশুর বাড়িতে গ্রহণযোগ্য হবে।

রহিমা ও মঈনের সন্তানসন্ততি হলো। ছেলেমেয়েরা বরাবরই তাদের বাবাকে দেখে ভয় পেত, তবে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে রহিমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মঈন ইতোমধ্যেই তার ছেলেদের ভবিষ্যত জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা যখন বড় হবে তখন তারা তাদের বাবার খাওয়া-পরার দায়িত্ব নেবে, যাতে সে একজন সুখী ও সম্মানি লোকের মতো জীবন কাটাতে পারে এবং ধর্মীয় কাজ-কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।

উপরে ক থেকে ঘ পর্যন্ত বর্ণিত আদর্শগুলির মধ্যে মঈন ও রহিমা কোনটি অনুসরণ করছিল? ---------------

০৪। মানিক ও রত্নার প্রথম দেখা তাদের কর্মস্থলে হয়েছিল। টিভিতে আজকাল যেমন দেখানো হয়- “ভালোবেসে বিয়ে করা” বা “স্বামী-স্ত্রীর সমান অধিকার” ধারণাটি তাদের বেশ পছন্দ হতো। কর্মস্থলে প্রতিদিন একসঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে একসময় তারা একে অন্যকে ভালোবেসে ফেলল। একদিন তারা গোপনে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করলো। এরপর তারা একসঙ্গে থাকার জন্য একটি ঘর ভাড়া নিল। পরে মানিক ও রত্নার একটি মেয়ে হলো, কিন্ত অল্পদিন পরেই রত্নাকে তার চাকরিতে ফিরে যেতে হলো। এভাবে মানিক ও রত্না উভয়ই তাদের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়লো। সেই সময় তাদের সন্তানের দেখাশোনার জন্য তারা গ্রাম থেকে এক খালাকে নিয়ে এলো। যদিও টাকা-পয়সা কীভাবে খরচ করতে হবে সে ব্যাপারে মাঝে-মধ্যে মানিক ও রত্নার মতবিরোধ হতো, তবুও সাংসারিক জিনিস-পত্র কেনাকাটা ও সন্তানের লেখাপড়ার জন্য মানিক ও রত্না অনেক টাকা খরচ করতো। তাদের মেয়ে যখন যা চাইতো তখনই তারা তাকে তাই দিতো, এবং তারা তাদের মেয়েকে তার নিজ জীবন চালানোর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল।

(ক)২ নং প্রশ্নের ক থেকে ঘ পর্যন্ত বর্ণিত আদর্শগুলির মধ্যে মানিক ও রত্না কোন আদর্শটি অনুসরণ করছিল? ----------

(খ)আপনার মতে, পারিবারিক জীবনের জন্য সবচেয়ে উওম আদর্শ আপনি কোথায় পেতে পারেন? ----------------------

---------------------------------

(২) আল্লাহ একজন আদর্শ পিতার উদাহরণ

০৫। ইফিষীয় ১ অধ্যায়ে আমরা দেখি যে, আল্লাহ আমাদেরকে তার সন্তান হিসাবে দেখেন। ইফিষীয় ১:৩-১০ পড়ুন। আয়াতটি পড়ে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন।

০৬। আল্লাহর অনেক নাম ও উপাধি আছে। ৩ নং আয়াতে আল্লাহকে কোন্ উপাধি দেয়া হয়েছে? কেবলমাত্র একটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) দুনিয়ার বাদশাহ

(খ) আমাদের হজরত ঈসা মসীহের পিতা ও আল্লাহ

(গ) বিচারক

০৭। আল্লাহ অপরিবর্তনশীল। কিতাবে আল্লাহকে “আমাদের হজরত ঈসা মসীহর পিতা” নামে ডাকা হয়েছে। ঈসা মসীহ একজন মানুষরূপে দুনিয়াতে আসার আগে তিনি বেহেস্তে তার পিতার (আল্লাহর) সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সবসময় ‘পিতা-পুত্রের’ একটি রুহানি সম্পর্ক ছিল। একজন দয়ালু ও অকৃপণ পিতা হিসেবে আল্লাহ তাঁর প্রত্যেকটি রুহানি দোয়া বা আশীর্বাদ ঈসা মসীহকে দিয়েছেন।

ইফিষীয় ১:৩ আয়াতে আমরা দেখতে পাই যে, ঈমানদার হিসেবে, আমরাও আল্লাহর কাছ থেকে তার প্রত্যেকটি রুহানি আশীর্বাদ পেয়ে থাকি। এটা তাহলে কীভাবে সম্ভব? কেবল একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) এই রুহানি দানগুলো আমাদের প্রাপ্য কারণ আমরা ভালো মানুষ হিসেবে ভালো কাজ করে থাকি।

(খ) আমরা যখন ঈসা মসীহর সঙ্গে যুক্ত হই তখন তিনি যেমন আল্লাহর পুত্র, আমরাও তখন আল্লাহর সন্তান হই। তাই আল্লাহ ঈসা মসীহকে যে রুহানি আশীর্বাদ দিয়েছেন আমরাও সেই আশীর্বাদের অংশীদার।

(গ) প্রত্যেকটি রুহানি আশীর্বাদ পাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

০৮। আমরা যখন পুত্রের (ঈসা মসীহ) সঙ্গে যুক্ত হই তখন পিতার কাছ থেকে আমরা কী ধরনের জিনিস পাই? কেবলমাত্র একটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) অনেক টাকা-পয়সা

(খ) শাস্তি

(গ) নিয়ম-কানুন (শরিয়ত)

(ঘ) প্রত্যেকটি রুহানি আশীর্বাদ

০৯। নিচে পুত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে আমরা আল্লাহর কাছ থেকে যে রুহানি আশীর্বাদ পেয়ে থাকি তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। ইফিষীয় ১:৩-১০ পড়ুন এবং যে আয়াতে যে আশীর্বাদের কথা লেখা আছে আশীর্বাদের তালিকার পাশে সেই আয়াতের ঠিকানা লিখুন। প্রথমটি লেখা আছে।

৪-৫ (ক) আমরা পবিত্র ও নিখুঁত হতে পারি।

(খ) দুনিয়া সৃষ্টি করার আগেই আমাদের বাছাই করা হয়েছিল।

(গ) আমরা পিতার মহব্বত পাই।

(ঘ) আল্লাহ খুশি হয়ে নিজের ইচ্ছায় আমাদেরকে তাঁর সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেন।

(ঙ) তিনি তাঁর প্রিয় পুত্রের মধ্য দিয়ে তার মহিমাপূর্ণ রহমত বিনামূল্যে আমাদের দান করেন।

(চ) আমরা মসীহর রক্তের দ্বারা এখন মুক্ত হয়েছি।

(ছ) আমরা পাপের ক্ষমা পাই।

(জ) এই রহমত আল্লাহ তার মহাজ্ঞান ও বুদ্ধির সঙ্গে আমাদের দান করেছেন।

(ঝ) প্রত্যেককে মসীহর শাসনের অধীনে আনার জন্য আল্লাহ তাঁর গোপন উদ্দেশ্য আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন।

১০। ইফিষীয় ১:৩-১০ অংশে আল্লাহকে একজন আদর্শ পিতা হিসেবে আমরা দেখি। আল্লাহ কেমন পিতা? নিজের ভাষায় পিতা হিসেবে আল্লাহ কী রকম তা ব্যাখ্যা করুন।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আপনার দলের সঙ্গে আপনার উত্তরটা আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

১১। মতিউর তার ছেলেমেয়েকে গভীরভাবে ভালোবাসেন। তার সবচেয়ে বড় আশা হল, তার ছেলেমেয়ে যেন প্রতিটি কাজে ঈসা মসিহকে অনুসরণ করে। মতিউর তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন এবং তিনি পরিবারে তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় দেবার চেষ্টা করেন। তিনি তাদের কথা শোনেন, যেরকম জীবন যাপন আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে, সেই বিষয়ে তিনি তাদের নির্দেশনা দেন। তাদের জন্য তার প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন এবং তারা একপরিবার হিসাবে কীভাবে আল্লাহর সেবা করতে পারেন সেটাও তাদের বলেন। তার ছেলেমেয়েরা যখন তার কথা মানে না, তখন তিনি দুঃখ পান। তিনি চান, যা ভালো ও সঠিক তাই যেন তারা করে। তিনি তাদের সংশোধন করেন এবং তাদেরকে পাপ সম্বন্ধে শিক্ষা দেন, যেন তারা তাদের পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। তারপর তিনি তাদের আবার তার ভালোবাসা দেখান। তিনি চান যেন তার ছেলেমেয়েরা সংসারে এবং তাদের নিজেদের জীবনে দায়িত্বশীল হয়। সেইজন্য তিনি তার নিজের জীবন দিয়ে তাদের কাছে একটি ভালো উদাহরণ রেখে যেতে চান।

একজন ভালো পিতা হওয়ার জন্য মতিউর কার আদর্শ অনুসরণ করছেন? -------------------------------------------

১২। মতিউরকে আপনার প্রতিবেশী হিসেবে কল্পনা করুন। আল্লাহ একজন পিতা হিসেবে কেমন, তার একটি বাস্তব উদাহরণ আমরা মতিউরের জীবন থেকে দেখতে পারি। উপরের গল্পে, ছেলেমেয়েদের জন্য মতিউরের করা কাজগুলোর নিচে দাগ দিন যেগুলো আল্লাহ আমাদের কতটুকু ভালোবাসেন তা প্রকাশ করে। আপনার উত্তর দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রাখুন।

১৩। যেকোনো পিতার ক্ষেত্রে অনুসরণ করার জন্য কে সবচেয়ে আদর্শ উদাহরণ? -----------------------

(৩) ঈসা মসীহ স্বামীদের জন্য একজন আদর্শ উদাহরণ

১৪। এই দুনিয়াতে থাকাকালীন ঈসা মসীহ বিয়ে করেন নি ঠিকই কিন্তু তিনি তাঁর লোকদের অর্থাৎ তাঁর মণ্ডলীর প্রতি অভুতপূর্ব ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন। তিনি তাঁর মণ্ডলীর জন্য নিজের জীবন ক্রুশে কোরবানি দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের পাপ ক্ষমা করেছিলেন এবং আমাদেরকে তাঁর আশীর্বাদের অংশীদার করেছিলেন।

পড়ুন ইফিষীয় ৫:২৫-৩০। আয়াতটি পড়ে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন।

ইফিষীয় ৫:২৫ অনুসারে, ঈমানদার স্বামীরা কাকে আদর্শ স্বামী হিসেবে অনুসরণ করবে? --------------- --------------------

১৫। ইফিষীয় ৫:২৫ আয়াত অনুযায়ী ঈসা কাকে কনের মতো ভালোবাসেন (২৫ আয়াত)? -----------------------

১৬। কনের জন্য ঈসা মসীহর পরিকল্পনা কী (আয়াত ২৬-২৭)? কেবলমাত্র একটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) তাকে সুন্দর, খাঁটি ও পবিত্র করা।

(খ) তার মাধ্যমে নিজের সম্মান বৃদ্ধি করা।

(গ) এটা নিশ্চিত করা যে, সে সুখী হয়েছে এবং সে যা চায় সেটা যেন সে পায়।

১৭। ঈসা মসীহ তাঁর কনের জন্য কী ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন? কেবল একটি উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) তার টাকা

(খ) তার সময়

(গ) তার সমস্ত জীবন

(ঘ) তার শ্রম

১৮। (ক) আমরা যখন বলি যে, ঈসা মসীহ তাঁর কনে অর্থাৎ মণ্ডলীর জন্য নিজেকে ত্যাগ করেছিলেন, তখন এটা বলতে আমরা কী বুঝি?

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(খ) কোন্ কোন্ উপায়ে ঈমানদার স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের এরকম ভালোবাসতে পারেন?

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আপনার উত্তর দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুতি নিন।

১৯। আলমগির কোনো রকম যৌতুক দাবি না করেই লুনাকে বিয়ে করলো, কারণ সে লুনাদের পরিবারে অতিরিক্ত কোনো কষ্টের বোঝা দিতে চায় নি। সে জানতো যে লুনা ঈসা মসীহকে বিস্বাস করলেও একটি সমস্যাযুক্ত পরিবারে তার জন্ম। আলমগীর লুনার জন্য তার ভালোবাসা দেখাতো। সে প্রতিদিন তার প্রয়োজনগুলি নিয়ে ভাবতো। আলমগীর চেষ্টা করতো যেন লুনা তার জীবনের কষ্টগুলো ঈসা মসীহর কাছে তুলে ধরে এবং সমবেদনা পায়। লুনার সঙ্গে বাস করা মাঝে মধ্যে আলমগীরের জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াতো। কিন্তু আলামগির লুনার প্রতি ধৈর্যশীল ছিল। সে চাইতো লুনা যেন তার নাজাতদাতা আল্লাহকে নিয়ে আনন্দিত থাকে এবং একটি পবিত্র জীবন যাপন করে। লুনার প্রতি আলমগীর এভাবে ভালোবাসা দেখাতে দেখাতে লুনার মনও দিনে দিনে অনেক সুন্দর ও ভালোবাসায় ভরে উঠতে লাগলো। অন্যেরা যখন লুনার সমালোচনা করতো, আলমগীর তখন তার প্রতি বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা নিয়ে পাশে দাঁড়াতো।

একজন ভালো স্বামী হওয়ার জন্য আলামগীর কার আদর্শ অনুসরণ করছে? -----------------------------------

২০। আলমগির চান তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়রাও যেন ঈসা মসীহ সম্বন্ধে সুসংবাদগুলি জানতে পারে। তার স্ত্রীর জীবন বেদনাময় ও কঠিন হওয়া সত্ত্বেও যদি আলামগির তার স্ত্রীর প্রতি ধৈর্য ও ভালোবাসা দেখায়, তাহলে তার প্রতিবেশীদের কাছে ঈসা মসীহর সাক্ষ্য তুলে ধরবার সময় কি এই গুণগুলো তাকে সাহায্য করবে? কেন? ---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------।

আপনার উত্তরটি নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

২১। ১ক পাঠে আমরা শিখেছি যে, আমরা যেহেতু এখন নাজাত পেয়েছি, সেহেতু আল্লাহ আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে পরিবর্তন এনেছেন। ১খ পাঠে আরও দেখেছি যে, আল্লাহ আমাদের নিজে দেখিয়েছেন কীভাবে আমরা আমাদের পরিবারে ভালোবাসা দেখাতে পারি।

এই অধ্যায়ের (১) ভাগে আমরা দেখেছি যে, পারিবারিক জীবনে মানুষ কি রকম আদর্শ অনুসরণ করে থাকে।

এই অধ্যায়ের (২) ভাগে আমরা দেখেছি যে, ------------------------ আমাদের আদর্শ পিতার উদাহরণ।

এই অধ্যায়ের (৩) ভাগে আমরা দেখেছি যে, ----------------------------------- স্বামীদের জন্য একজন আদর্শ উদাহরণ।

মুখস্থ আয়াত:

এই আয়াতটি মুখস্থ করুন এবং সেটা নিয়ে এই সপ্তাহে চিন্তা করুন। পরীক্ষার সময় এই আয়াতটি আপনাদের মুখস্থ লিখতে হতে পারে।

“দেখ, পিতা আমাদের কত মহব্বত করেন! তিনি আমাদের তাঁর সন্তান বলে ডাকেন, আর আসলে আমরা তা-ই।”

১ ইউহোন্না ৩:১

পুনরালোচনা:

২২। লোকেরা তাদের পারিবারিক জীবনে যাদেরকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করে থাকে সেই রকম দুইটি উদাহরণ নিচের শূন্যস্থানে লিখুন। (ক) ----------------------------------- (খ) -----------------------------------।

২৩ (ক) একজন আদর্শ পিতা কেমন হবেন সেটা ঈমানদারদের কে দেখাবেন? -----------------------------------

(খ) একজন আদর্শ স্বামী কেমন হবেন সেটা ঈমানদারদের কে দেখাবেন? -----------------------------------

২৪। এই সপ্তাহের মুখস্থ আয়াতটি নিচের শুন্যস্থানে লিখুন।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাঠ: ১খ

আল্লাহ আমাদের আদর্শ

পাঠ : ২ক

বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর এক শরীর হওয়া: আল্লাহ কর্তৃক যুক্ত হওয়া

কীভাবে বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহপাক স্বামী ও স্ত্রীকে যুক্ত করেন এই পাঠে আমরা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

০১। স্ত্রী হলো অনেকটা খাবার দাবারের মতো। খাবার যদি সুস্বাদু, পরিষ্কার ও আমার পেট ভরায়, আমি সন্তুষ্ট থাকি। ঠিক তেমনি আমার স্ত্রীরও উচিত আমাকে সন্তুষ্ট করা। সে উচ্চ বংশের মেয়ে হবে, বাড়িতে সে আমার ও পরিবারের অন্য সদস্যদের দেখাশোনা করবে, এবং আমার ছেলে মেয়েকে গর্ভে ধারণ করবে। সে যদি এই সব কাজে আমাকে সন্তুষ্ট করতে না-ই পারে তাহলে আরেকটা বিয়ে করতে অসুবিধা কোথায়? আমি একজন ঈমানদার, আমি ঈসা মসীহের নাজাত পেয়েছি এবং আমি আল্লাহর কাছে মুনাজাত করি ঠিকই কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের সংসার চালানো তো একটা অত্যন্ত বাস্তব ও দুনিয়াবি বিষয়, কোনো রুহানি বিষয় নয়। আমার মনে হয় না যে দুনিয়াবি বিষয়ে আল্লাহর কোনো আগ্রহ আছে।

আব্দুল

এক্ষেত্রে আপনি আব্দুলকে কী বলবেন?

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আপনার উত্তর নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত রাখুন।

(১) বিয়ের মধ্য দিয়ে আল্লাহ আমাদের একজন জীবনসঙ্গী উপহার হিসেবে দেন

০২। পয়দায়েশ ২য় অধ্যায়ে, আল্লাহ যখন হজরত আদম ও বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন তখন আমরা সর্বপ্রথম বৈবাহিক সম্পর্কের একটা উদাহরণ দেখতে পাই। এই ঘটনা আমাদের কাছে স্বামী-স্ত্রী হওয়া সম্বন্ধে আল্লাহর পরিকল্পনা প্রকাশ করে। দুনিয়ায় পাপ আসার আগেই তিনি মানুষের জন্য বিয়ের এই রীতির প্রচলন করেছিলেন।

পড়ুন পয়দায়েশ, ২:১৫-২৫ আয়াত। আয়াতটি পাঠ করে থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিন।

০৩। আল্লাহপাক কী কারণে মানুষকে আদন বাগানে রাখলেন (আয়াত ১৫)? কেবল একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) কেবল বিশ্রাম ও আনন্দ লাভের জন্য।

(খ) কাজ করা এবং বাগানের দেখাশোনার জন্য।

০৪। আল্লাহ ছয়দিনে দুনিয়া সৃষ্টি করে বললেন যে, তা চমৎকার হয়েছে। কিন্তু ১৮ আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আরও বললেন যে, একটা বিষয় ভালো নয়। কোন বিষয়টা তাঁর কাছে ভালো লাগে নি? একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) মানুষ ভালো ছিল না।

(খ) পরিবেশ ভালো ছিল না।

(গ) মানুষের পক্ষে একা থাকাটা ভালো ছিল না।

(ঘ) আল্লাহ মানুষকে যে কাজ দিয়েছিলেন সেটি ভালো ছিল না।

০৫। আমরা দেখেছি যে, আল্লাহ আদমকে কিছু কাজ দিয়েছিলেন-তবু একা থাকাটা আদমের পক্ষে ভালো ছিল না। এই সমস্যা সম্পর্কে আল্লাহ কী করবেন বলে ঠিক করলেন? (আ. ১৮)

আমি তার জন্য একজন --------------------------- --------------------------- তৈরি করবো।

০৬। পয়দায়েশ ২য় অধ্যায়ে, যে ইবরানী শব্দটি ‘উপযুক্ত সঙ্গী’ হিসেবে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, তার আরেকটি অর্থ হলো সহায়ক বা সাহায্যকারী। আল্লাহ ঠিক করলেন তিনি পুরুষকে একজন সাহায্যকারী দিবেন।

তৌরাত কিতাবের আরেকটি জায়গায়, স্বয়ং আল্লাহকে তাঁর নিজের লোকদের সহায়ক বা সাহায্যকারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। “হে মাবুদ, ...শত্রুর বিরুদ্ধে তুমি তার সহায় হও” (দ্বিতীয় বিবরণ ৩৩:৭)।

(ক) দ্বিতীয় বিবরণ ৩৩:৭ আয়াতে কাকে একজন সহায় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে? ---------------------------

(খ) পয়দায়েশ ২:২২ আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ কাকে আদমের সাহায্যকারী হিসেবে পাঠিয়েছিলেন? ------------------------

০৭। আদমের স্ত্রী ছিল তার জন্য আল্লাহর দেয়া উপহার এবং একই সঙ্গে আদমের সাহায্যকারিনী। আমরা এও দেখেছি যে, স্বয়ং আল্লাহকেও কিতাবে সাহায্যকারী বলা হয়। সুতরাং একজন স্বামীর সাহায্যকারিনী হিসেবে স্ত্রীর কাজকে আমাদের কী চোখে দেখা উচিত? একটিমাত্র সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) স্ত্রী হচ্ছে তার স্বামীর চাকরের মতো। তার কাজ পুরুষের কাজের চেয়ে অনেক কম সম্মানের।

(খ) স্ত্রীর কাজ খুব সম্মানজনক। পুরুষের কাজে স্ত্রীর সাহায্য দরকার।

০৮। পয়দায়েশ ১:২৮ আয়াতে আল্লাহ নারী পুরুষ সকলকে এই হুকুম দিয়েছেন:

“তোমরা বংশবৃদ্ধির ক্ষমতায় পূর্ণ হও, আর নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে দুনিয়া ভরে তোল এবং দুনিয়াকে নিজের শাসনের অধীনে আন। এছাড়া তোমরা সমুদ্রের মাছ, আকাশের পাখি এবং মাটির উপর ঘুরে বেড়ানো প্রত্যেকটি প্রাণীর উপরে রাজত্ব কর।”

সুতরাং, আল্লাহ মানবজাতিকে এইসব কাজ দিয়েছেন: বংশবৃদ্ধি করে দুনিয়াকে ভরিয়ে তোলা, দুনিয়াকে নিজেদের অধীনে আনা এবং প্রত্যেকটি প্রাণীর উপরে রাজত্ব করা। আল্লাহ মানবজাতিকে যে হুকুমগুলি দিয়েছেন সেগুলি পালন করার জন্য তাঁর দেয়া উপহার একজন সাহায্যকারিনী হজরত আদমকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে? প্রত্যেকটি সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিন।

(ক) স্বামী-স্ত্রী হিসেবে, নারী ও পুরুষের অনেক ছেলেমেয়ে হতে পারে এবং তারা পরবর্তীতে দুনিয়াকে ভরে তুলবে।

(খ) স্বামী-স্ত্রী হিসেবে, নারী ও পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে এবং দুনিয়ার সকল প্রাণীর উপর রাজত্ব করতে পারে।

(গ) স্বামী-স্ত্রী হিসেবে, তাদের সন্তানেরাও পরবর্তীতে দুনিয়ার উপরে আধিপত্য বিস্তার করে দুনিয়াকে নিজেদের অধীনে আনবে।

(ঘ) স্বামী-স্ত্রী হিসেবে, মানুষ আল্লাহর দেয়া কাজ করার সুযোগ কম পায়।

০৯। আল্লাহপাক আমাদেরকে অর্থাৎ ঈসা মসীহতে বিশ্বাসী মণ্ডলীকেও যেসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, সেগুলির মধ্যে এখানে কয়েকটি দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কাজের পাশে, সেই কাজ করার জন্য বিয়ে যে-উপায়ে সাহায্য করতে পারে, সেই উপায়টি লিখুন। একটি ইতোমধ্যেই পূরণ করে দেয়া হয়েছে।

(ক) কাজ: তওবা করা এবং সুসংবাদের উপর ঈমান রাখা (মার্ক ১:১৫।

আমরা আমাদের স্বামী বা স্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারি যে, আমাদের পাপ কাজ থেকে বিরত থেকে ঈসা মসীহের ক্ষমা লাভ করা উচিত।

(খ) কাজ: সব সময় মুনাজাত করা। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৭)

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(গ) কাজ: পিতা-মাতাকে সম্মান করা। (ইফিষীয় ৬:২)

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(ঘ) কাজ: মহব্বতের মনোভাব নিয়ে একে অন্যের সেবা করা। (গালাতীয় ৫:১৩)

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(ঙ) মেহমানদের সেবা করা। (রোমীয় ১২:১৩)

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------